চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় একটি রেস্তোরাঁ থেকে ১১ শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। অভিযোগ রয়েছে, রেস্তোরাঁর মালিক এই শিশুদের আটকে রেখে তাঁর দোকানে কাজ করাতেন। এ ঘটনায় ওই ব্যক্তিকেও আটক করা হয়।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের শান্তিরহাট বাজারের এ ঘটনা ঘটে। র্যাব-৭ এই অভিযান চালায়। আটক দোকান মালিকের নাম কামাল উদ্দিন (৩২)। তিনি পোমরা ইউনিয়নের রোসাই পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, অভিযান পরিচালনাকালে ওই দোকানের ক্যাশবাক্সে দুটি প্যাকেটে চার শ পিচ ইয়াবা বড়িও পাওয়া যায়। কামাল দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনসহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে ভবঘুরে ও টোকাই শ্রেণির পথশিশুদের দালালের মাধ্যমে স্বল্প টাকায় কিনে দোকানে জিম্মি করে কাজ করাতো। অভিযোগ রয়েছে, কামাল এসব শিশুদের খাবার ও পড়নের কাপড়চোপড় ঠিকমতো না দিয়ে বিনে টাকায় কাজ করাতো। পাশাপাশি শারীরিক নির্যাতনও চালাতো।
র্যাব বলছে, এক শিশু পালিয়ে গিয়ে তার পরিচিত আরেক শিশুর অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। আবদুর রহিম নামের ওই অভিভাবক ঢাকার টঙ্গী এলাকায় বসবাস করেন। পরে তিনি টঙ্গী থানায় এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। যার একটি কপি নিয়ে রহিম চট্টগ্রামে র্যাব-৭ এর শরণাপন্ন হন।
শান্তিরহাটের কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে জানান, ‘দোকানদার কামাল উদ্দিনের আচরণ ছিল রহস্যজনক। তিনি সারা রাত দোকান খোলা রেখে সকাল আটটায় বন্ধ করতেন। এরপর সন্ধ্যার পরে পুনরায় দোকান চালু করত।’ কামাল এসব শিশুদের ব্যবহার করে এলাকায় ইয়াবার ব্যবসা করত বলে তাদের অভিযোগ।
র্যাব-৭ এর গণমাধ্যম কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি মিমতানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘অভিযুক্ত কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে দালালের মাধ্যমে শিশুদের দুই থেকে তিন হাজার টাকায় কিনে নেন। এরপর তাদের দোকানে রেখে অমানবিক পরিশ্রম করাতেন এবং তাদের ঠিকমতো খাবার ও কোনো টাকা দিত না।’