প্রেমের সূত্র ধরে এক তরুণীকে নিয়ে সারা দিন বেড়িয়ে রাতে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষে ওঠেন তাঁর কথিত প্রেমিক। সেখানে ওই প্রেমিকসহ তাঁর সহযোগীরা তরুণীকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি শুক্রবার রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌর শহরের রেলস্টেশন সড়কের একটি হোটেলে ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, কুলাউড়া পৌর শহরের মধ্য চাতলগাঁও এলাকার বাসিন্দা সামী আহমদ (২২), শ্রীপুরের মো. আল আমিন (২৩), সিলেটের মোগলাবাজারের শাহান আহমদ (২২), হোটেলের ব্যবস্থাপক নির্মল বর্ধন (৩৫) ও হোটেলের কর্মচারী খোকন মিয়া (২০)।
পুলিশ ও নির্যাতনের শিকার তরুণীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সামী সাভারের একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। সেখানে সহকর্মী তরুণীর (২০) সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। শুক্রবার সামী ওই তরুণীকে বেড়ানোর কথা বলে সিলেটে নিয়ে যান। সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বেড়িয়ে ওই দিন রাতে তাঁরা ট্রেনে কুলাউড়ায় পৌঁছে ওই হোটেলে ওঠেন। রাতে সামীসহ তাঁর সহযোগী আল আমিন, শাহান ও সিলেটের মোগলাবাজারের কাশেম (২২) তরুণীকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে ওই দিন দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কাশেম পালিয়ে যান।
ওই তরুণী প্রথম আলোকে বলেন, অভাবের তাড়নায় বছরখানেক আগে তিনি সাভারের পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন। তিনি এ ব্যাপারে মামলা করবেন।
কুলাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিনয় ভূষণ রায় শনিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক হওয়া সামী, আল আমিন ও শাহান ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তরুণীকে রোববার হাসপাতালে পাঠানো হবে। হোটেলের ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।