প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ৬২ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কারিগরি দিক থেকে অত্যন্ত জটিল সেতুর পাইলিংয়ের কারণে পুনরায় ডিজাইন করতে হয়েছে। দেশীয় আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ডিজাইন সম্পন্ন করতে কিছু অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হয়েছে। তা সত্ত্বেও ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর (পিরোজপুর-৩) তারকাচিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ স্থাপন এবং পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা হতে বরিশাল পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপনের কাজ চলছে। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলার ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে । ঢাকা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জে ১ হাজার ২০৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। এ প্রকল্পের কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২৭ এপ্রিলে চায়না এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
‘আমি ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবরে প্রকল্পের মূল কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছি। ২০১৮ সারের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি ১৬ দশমিক ৭০ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ভাঙ্গা হতে বরিশালের পায়রা সমুদ্রবন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ক সমীক্ষা প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে। ২০১৮ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। মাঠপর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।